Sajeeb Wajed Ahmed Joy and Bangabandhu

Sajeeb Wajed Ahmed Joy:

Sajeeb Ahmed Wazed (Bangla: সজীব ওয়াজেদ) (born July 27, 1971), also known as Sajeeb Wazed Joy, is an IT professional who was selected by World Economic Forum as one of the 250 Young Global Leaders of the World. He is the son of Sheikh Hasina Wazed, the current Prime Minister of Bangladesh and the grandson of Sheikh Mujibur Rahman, the first President of Bangladesh

Early life and education

Sajeeb Wazed was born in 1971 during the Bangladesh Liberation War to the eminent Bengali nuclear scientist Dr. M. A. Wazed Miah and Sheikh Hasina Wazed. His birth during the war and subsequent victory of the Bengalis earned him the nickname given by his maternal grandfather, Sheikh Mujibur Rahman, “Joy” which in Bengali means victory.

Wazed was schooled in India. His early days were spent at boarding in St. Joseph’s College Nainital, and later at Kodaikanal International School in Palani Hills, Tamil Nadu. He pursued a Bachelor of Science degree in computer science, physics and mathematics from Bangalore University. Wazed then pursued another bachelor of science degree in computer engineering at the University of Texas, Arlington in the United States. Subsequently, Wazed attended the Kennedy School of Government in Harvard University, where he completed a Masters in Public Administration.

Politics

In 2004, Sajeeb Wazed visited Bangladesh amid speculations that he would be taking up the Sheikh family’s political mantle. He and his wife received a rousing reception as they landed in Shahjalal International Airport. Thousands of people lined Dhaka’s roads to have glimpse of Joy and his wife. During the visit he rejected a letter sent by Tarique Rahman, son of the then Prime Minister and his mother’s arch rival, Khaleda Zia. The letter congratulated Sajeeb’s possible entry into politics.

In 2007, Wazed was selected by the World Economic Forum in Davos as one of the “250 Young Global Leaders of the World”. The forum cited his role as Advisor to the President of the Bangladesh Awami League.

During the 2006–2008 Bangladeshi political crisis and Minus Two controversy, both Sheikh Hasina and Khaleda Zia were arrested by the military backed interim government on charges of corruption and “anti-state” activities. Hasina maintained that the charges were baseless and her detention was part of efforts by the military to keep her out of the political arena in order to pave the way for another period of quasi-military rule in Bangladesh. Sajeeb Wazed began campaigning in the United States and Europe for the release of his mother and other detained high-profile politicians. Hasina was eventually released in June 2008. She subsequently traveled to the United States for medical treatment.

In December 2008, Bangladesh held national elections that saw Sheikh Hasina’s Awami League and its coalition partners secure the biggest parliamentary majority since 1973, capturing 262 seats in the 300 seat parliament, 230 of which went to the Awami League. Sheikh Hasina was sworn in as the 14th Prime Minister of Bangladesh on 6 January 2009. Prior to the elections, Wazed wrote an article in the Harvard International Review in which he outlined a “secular plan” to stem the rise of Islamic extremism in Bangladesh.

Wazed gave an interview to the BBC in February, 2009 in the aftermath of the violent Bangladesh Rifles mutiny. Asked about security threats faced by his mother from tension provoked in the military by the mutiny and whether certain quarters were trying to stage a scenario similar to that of his grandfather’s assassination in 1975 during a coup by junior army officers, Wazed commented that there was a “distinct possibility” of such a situation being intended. He also stressed that security was beefed up at the Prime Minister’s residence and went on to praise his mother’s handling of the mutiny. “This is probably the biggest incident Bangladesh has had since 1975 and our government and the prime minister has handled this compassionately, pragmatically but decisively to bring the situation under control” he said.

Primary membership

On 25 February 2009, Wazed officially joined the Awami League as a primary member of the Rangpur district unit of the party. Awami League Joint General Secretary Mahbubul Alam Hanif handed over Wazed’s membership form to district party leaders. Rangpur is the ancestral home district of his father Wazed Miah.

The move by Wazed to formally join the Awami League was welcomed by many political leaders and commentators, including the Bangladesh Nationalist Party. Senior BNP leader Nazrul Islam Khan gave his party’s official reaction, stating “we see the matter positively”.

Digital Bangladesh

Within days of joining the Awami League as a primary member, Wazed, in his capacity as an IT policy analyst, unveiled the concept paper and action plan for the government’s ambitious “Digital Bangladesh” scheme; to develop a strong ICT industry in Bangladesh and initiate e-governance and IT education on a mass scale. Wazed emphasized the use of information technology to achieve Bangladesh’s development goals. He also noted that the Digital Bangladesh “scheme” would contribute to a more transparent system of government through e-governance, as it would greatly reduce massive bureaucratic corruption in Bangladesh. He also spoke of Bangladesh’s potential to become an IT outsourcing hub in the next few years given its various advantages in a growing young educated population with a “neutral” English accent. Wazed stated that by the 2021, the IT industry can overtake textiles and readymade garments as the principal foreign exchange earner for Bangladesh.

Monday 19 October 2015

আপনার বিবেককে জাগ্রত করুন -বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন।

SUPPORT AWAMI LEAGUE
আপনার বিবেককে জাগ্রত করুন -বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন। জোট সরকারের সংখ্যালঘু নির্যাতন
১। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর সমগ্র বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন করলো কারা ? 
২। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর পূর্ণিমা ফহিমা রীতা রানীদের সম্ভ্রম হানী করলো কারা। ? 
৩। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর ভোলার ইউ পি সদস্য সেফালী সরকারের সম্ভ্রমহানী করলো কারা ?
৪। ২০০১ সালের ৪ঠা অক্টোবর লালমোহনের রীতা রানী দাসকে গনধর্ষণ করলো কারা ?
৫। ২০০১ সালের ৮ অক্টোবর উল্লাপাড়ার নিজ মায়ের সামনে পূর্নিমা রানীকে গনধর্ষন করেছিল কারা ?
৬। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর মোল্লার হাটে বোমা বিস্ফারণ ঘটিয়ে হিন্দুদের মারলো কারা ?
৭। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর মীরেরসরাইতে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করলো করা ?
৮। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর রাউজানের প্রভাত দাসের বাড়ী জালিয়ে দিয়েছিল কারা ?
৯। আগৈলঝড়ার ১৪ বছরে কিশোরী রাসমনি বাইনকে নির্যাতন করেছিল কারা ?
১০। গৌরনদীর অন্ত:সত্ত্বা সাবিত্রী দাসকে গন ধর্ষণ করেছিল কারা ?
১১। অন্নদাপ্রসাদ গ্রামের বাল্য বধির সেফালী রানী দাসকে ধর্ষন করেছিল কারা ?
১২।বাঁশখালিতে ১৩ জন সংখ্যালঘুকে পুড়িয়ে মেরেছিল কারা ?
১৩। লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে নিজ বাড়ীতে গৃহবধু সুজাতা রানীকে ধর্ষন করেছিল কারা ?
১৪। আগৈলঝড়ার ইউপি সদস্য রেনুকা রানীকে ধর্ষন করেছিল কারা ?
১৫। গফরগাওয়ের জ্যোতস্নাকে গণধর্ষন করেছিল কারা ?
১৬। চট্টগ্রামের চন্দনাইশে হিন্দু পাড়ায় হামলা করেছিল কারা ?
১৭। বাগেরহাটের যাত্রাপুরের ঠাকুর বাড়িতে এক রাতে ২৩ জন গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছিল কারা ?
১৮। নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহরীকে হত্যা করলো কারা ?
১৯। ২৩। রামু বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা করে জ্বালিয়ে দিলো কারা ?
২০। আবারো কি লক্ষ লক্ষ সংখ্যালঘু দেশ ছাড়া হবে ? 

Saturday 17 October 2015

Last Letter of Bangabandhu বঙ্গবন্ধুর শেষ চিঠি।

last letter of bangabandhu: http://freedomfighters71.blogspot.com/... পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুর কিংবা তাকে লেখা বিভিন্ন জনের বাজেয়াপ্ত করা চিঠিপত্র  
একদিকে যেমন আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক উপাদান, তেমনি আরেকদিকে বর্তমান প্রজন্মের রাজনীতিকদের জন্য যথেষ্ট শিক্ষণীয়। বিশেষ করে দেশ ও দেশের জনগণকে ভালোবাসলে কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, কতটা কষ্টবরণ করতে হয়- সেই শিক্ষা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দিয়ে গেছেন। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর বাজেয়াপ্ত চিঠিপত্রের যথেষ্ট গুরুত্ব ও আবেদন রয়েছে। ২০০৮ সালের ফেব্র"য়ারিতে বাংলা একাডেমী থেকে আমার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান : বঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র অসাধারণ নেতাই ছিলেন না, ব্যক্তি হিসেবেও তিনি ছিলেন মহান। দেশের জন্য জনগণের জন্য জেলজুলুমের শিকার হয়েছেন, কত ত্যাগ আর কষ্ট করে গেছেন, আজকের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত অনেক নেতার পক্ষেই সেটা কল্পনাতীত। 'বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ'-এর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর জীবন গ্রন্থ প্রণয়নকালে আমরা পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা স্পেশাল ব্রাঞ্চের দফতর থেকে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করি। শেখ মুজিব সংক্রান্ত ওই নথিপত্রের মধ্যে অনেক চিঠি ছিল। বিভিন্নজনকে বঙ্গবন্ধুর লেখা এবং সরাসরি বঙ্গবন্ধুকে লেখা কিংবা তাকে নিয়ে নানাজনের চিঠিপত্র পাওয়া গেছে সেখানে। পাকিস্তান আমলে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে গোয়েন্দা সংস্থা এসবি ওই সকল চিঠি বাজেয়াপ্ত করেছিল। ১৯৪৯ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সাহেবকে বঙ্গবন্ধু দু'টি চিঠি লিখেছিলেন। যা হোক, স্পেশাল ব্রাঞ্চের বাজেয়াপ্ত করা চিঠিগুলো থেকে আমরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে এমন অনেক কিছু তথ্য পেয়েছি যা এ যাবৎ অজ্ঞাত ছিল আমাদের কাছে; মনে হয় তেমনি বাঙালি জাতির অনেকেরও তা জানা ছিল না। রাজনীতির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত জীবনের খুঁটিনাটি অনেক তথ্যই তাতে উঠে এসেছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাজবন্দি থাকাকালে ১৯৫১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তারিখে শেখ মুজিব দু'টি চিঠি লেখেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ জেনারেল সেক্রেটারি শামসুল হক এবং সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে। চিঠি দু'টি একই খামে ভরে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু গোয়েন্দারা তা বাজেয়াপ্ত করে। শামসুল হককে লেখা চিঠিতে মুজিব এক জায়গায় বলেছেন,“'... নানা কারণে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়াছি, আমার কোন কিছুর দরকার নাই। যদি ২/১ খানা ভাল ইতিহাস অথবা গল্পের বই পাঠাতে পারেন তবে সুখী হব। বহুদিন মওলানা সাহেবের কোন সংবাদ পাই নাই, এখন কেমন আছেন এবং কোথায় আছেন জানালে সুখী হব। আপনার শরীর কিরূপ, বন্ধু-বান্ধবদের আমার সালাম দিবেন কোন রকম ভয়ের কারণ নাই, তাদের জানাবেন। আমি শীঘ্রই আরোগ্য লাভ করবো বলে আশা করি, বাকি খোদা ভরসা।...'” অন্যদিকে মানিক মিয়াকে লেখা চিঠিতে তিনি বলেন, 'শুনে সুখী হবেন, সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি কারণ আর কতদিন বাবার পয়সার সর্বনাশ করা যায়। আর শরীরের অবস্থাও
ভাল না। কারণ হঠাৎ ঢাকা জেলে আসার পর থুথুর সাথে পর পর তিনদিন কিছু রক্ত পড়ে, তবে সে রক্ত সর্দি শুকাইয়াও হতে পারে আবার হাঁচি খুব বেশি হয় বলে অনেক সময় গলা থেকেও রক্ত পড়তে পারে। আর কাশের সাথেও হতে পারে, তাই নিজের থেকে হুঁশিয়ার হয়ে যাওয়া ভাল।' একই চিঠিতে বঙ্গবন্ধু আরও লিখেছেন: 'ঢাকা জেলের সুপার সাহেব খুব ভাল ডাক্তার, তাই শীঘ্রই ভাল হয়ে যাবো বলে আশা করি। চিন্তার কোনই কারণ নাই। জেলখানায়ও যদি মরতে হয় তবে মিথ্যার কাছে কোনদিন মাথা নত করবো না। আমি একলা জেলে থাকতে আপনাদের কোন অসুবিধা হবে না। কাজ করে যান খোদা নিশ্চয়ই সাহায্য করবে। আমার জন্য কিছুই পাঠাবেন না। আমার কোন কিছুরই দরকার নাই। নতুন চীনের কিছু বই যদি পাওয়া যায় তবে আমাকে পাঠাবেন। চক্ষু পরীক্ষার পর আপনাকে খবর দিবো। কারণ চশমা কিনতে হইবে। নিজেই দরখাস্ত করে আপনার সাথে দেখা করতে চেষ্টা করব।' শুধুমাত্র জেলবন্দি থাকা অবস্থাতেই নয়, জেলের বাইরে অবস্থানের সময়ও শেখ মুজিবের লেখা অনেক চিঠি স্পেশাল ব্রাঞ্চ জব্দ ও বাজেয়াপ্ত করে। ১৯৫২ সালের ২৮শে মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে শেখ মুজিব দু'টি চিঠি লেখেন ঢাকার হাটখোলা রোডে ঠিকানায় মানিক মিয়াকে এবং পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের হায়দারাবাদের ঠিকানায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে। ইংরেজিতে লেখা দু'টি চিঠিই গোয়েন্দা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। দু'টি চিঠির মাধ্যমে দু'জনকে মুজিব জানিয়েছেন তার শারীরিক অসুস্থতা-বিশেষ করে রক্ত আমাশয়ে (Blood dysentry) আক্রান্ত হওয়ার কথা। ১৬ এপ্রিলের আগেই ঢাকায় রওয়ানা হওয়ার কথা। মানিক মিয়াকে চিঠিতে তার পত্রিকা যে কোন মূল্যে চালিয়ে যাওয়া এবং তার জন্য কোথাও থাকার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে শেখ মুজিব দলীয় কর্মী ওয়াদুদ (ইত্তেফাকে কর্মরত। বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির পিতা) অসুস্থ অবস্থায় গ্রেপ্তার হওয়ার কারণে তার জন্য গভীর উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন। অন্যদিকে সোহরাওয়ার্দী সাহেবের কাছে লেখা চিঠিতে তাকে দেখার অধীর আগ্রহ ব্যক্ত করার পাশাপাশি শেখ মুজিব তৎকালীন পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কিত মন্তব্যের সঙ্গে নিজের শারীরিক অবস্থা-বিশেষ করে বিগত আড়াই বছরের
কারারুদ্ধ অবস্থায় তার শরীর ভেঙ্গে পড়ার বিষয়টিও জানিয়েছেন। হাটখোলা রোডে মানিক মিয়ার ঠিকানায় তাকে চিঠি লেখার অনুরোধ জানিয়ে সোহরাওয়ার্দী সাহেবের মাধ্যমে বন্ধু ও রাজনৈতিক সহকর্মীদের সালাম জানিয়েছেন শেখ মুজিব। ১৬ এপ্রিলের পূর্বে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার আগে মানিক মিয়ার একটি চিঠির জবাবে ৬ এপ্রিল মুজিব টুঙ্গিপাড়া থেকে আরেকটি চিঠি লিখেছেন। মানিক মিয়াকে ইংরেজিতে লেখা সে চিঠিটাও গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকার ওয়ারী পোস্ট অফিস থেকে জব্দ করে। ওই চিঠিতে বঙ্গবন্ধু ঢাকার মানিক মিয়ার সঙ্গে থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। কারণ তার অসুস্থ শরীরে হোটেলের খাবার সহ্য হবে না। ওই চিঠি পড়ে জানা যায়, ১৫ এপ্রিল গোপালগঞ্জে তার বিরুদ্ধে একটি মামলার রায় প্রদানের কথা আছে, রায় কী হবে সেটা তিনি জানেন না। তবে যে কোনো পরিস্থিতি বরণ করতে তিনি প্রস্তুত। চিঠিতে শেখ মুজিব বলেন, 'Manik Bhai I can not forget your love and affection (মানিক ভাই, আমি আপনার ভালবাসা এবং স্নেহের কথা বিস্মৃত হতে পারি না।)' বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক পথ কুসুমার্স্তীর্ণ ছিল না। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সংগ্রাম করে যে তাকে এগোতে হয়েছে স্পেশাল ব্রাঞ্চের ফাইল থেকে পাওয়া চিঠিপত্রে বর্ণিত বিষয়গুলিই তার সাক্ষ্য। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আর মিথ্যা মামলায় তাকে বার বার জেলে যেতে হয়েছে। তাতে তিনি কাবু হন নি। ১৯৫৮ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাজনৈতিক বন্দি থাকা অবস্থায় বাবা শেখ লুৎফর রহমানকে লেখা পুলিশ কর্তৃক বাজেয়াপ্ত এক চিঠিতে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, '... মা এবার খুব কষ্ট পেয়েছিল; কারণ এবার তার সামনেই আমাকে গ্রেপ্তার করেছিল। দোয়া করবেন
মিথ্যা মামলায় আমার কিছুই করতে পারবে না। আমাকে ডাকাতি মামলার আসামীও একবার করেছিল। আল্লাহ আছে, সত্যের জয় হবেই। আপনি জানেন, আমার কিছু নাই। দয়া করে ছেলেমেয়েদের দিকে খেয়াল রাখবেন। বাড়ি যেতে বলে দিতাম। কিন্তু ওদের লেখাপড়া নষ্ট হয়ে যাবে।' আজ নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না যে রাজনৈতিক কারণে বঙ্গবন্ধু পরিবারকেও কম ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়নি। শেষ পর্যন্ত তো জাতির পিতার সঙ্গে সবাই আত্মহুতি দিয়েছেন কেবলমাত্র দুই কন্যা ব্যতীত। এ লেখার প্রতিপাদ্য স্পেশাল ব্রাঞ্চের ফাইল থেকে পাওয়া বঙ্গবন্ধুর বাজেয়াপ্ত চিঠিপত্রের মধ্যেই সীমিত রাখতে চাই। ওই চিঠিপত্রে আমরা দেখতে পাই, গ্রেপ্তার হওয়ার কারণে পরিবারের সদস্যরা কেবল বঙ্গবন্ধুর সঙ্গই বঞ্চিত হননি, বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে তাদেরকে ষাটের দশকের গোড়ায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডে স্থিতিশীল হওয়ার আগ পর্যন্ত বার বার ঠিকানা বদল করতে হয়েছে। পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর রোষানলে পড়ার আশঙ্কায় তখন অনেকেই তাদের বাড়ি ভাড়া দিতেও ইতস্তত করতেন। পঞ্চাশ দশকে জেলের বাইরে অবস্থানের সময় শেখ মুজিবকে একেক সময় একেক ঠিকানা ব্যবহার করতে দেখা গেছে বাজেয়াপ্ত চিঠিপত্রে। অনেক চিঠিতে তিনি আবার তৎকালীন পূর্ব পকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের ৯৮,
নবাবপুর রোডের কার্যালয়ের ঠিকানাও ব্যবহার করেছেন। ১৯৫২ সালের ১৪ জুনে লাহোর থেকে লিখিত সিন্ধু হায়দারাবাদে অবস্থানরত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে লেখা চিঠিতে বঙ্গবন্ধু তার ঠিকানা দিয়েছেন ঢাকার ৭১, রাধিকা মোহন বসাক লেন। ওই চিঠিতে মুজিব তার তৎকালীন নেতা মোহরাওয়ার্দীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, 'Please dont think for me. I have born to suffer. (অনুগ্রহ করে আমার জন্য ভাববেন না, আমার জন্মই হয়েছে কষ্ট ভোগের জন্য)।' ১৯৫৮ সালের ২১ নভেম্বর, ১২ ডিসেম্বর ও ২৩ ডিসেম্বর এবং ১৯৫৯ সালের ৫ই জানুয়ারি, ২৯ জানুয়ারি ও ১৮ ফেব্র"য়ারিতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিরাপত্তা বন্দি হিসেবে স্ত্রী সন্তান ও আইনজীবীসহ অন্যান্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতি চেয়ে ডিআইজ, এসবি পূর্ব পাকিস্তান রবাবরে লিখিত আবেদনপত্রসমূহে বঙ্গবন্ধু তার সহধর্মিণী ফজিলাতুন্নেছার ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করেছেন, 'Mrs. Fazilaton Nesa, C/O- Sheikh Mujibur Rahman, in front of Sideshwari High School, Dacca. (মিসেস ফজিলাতুন্নেছা, প্রযতে� শেখ মুজিবুর রহমান, সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে, ঢাকা।)' বাজেয়াপ্ত চিঠিপত্রের সূত্রে দেখা যায়, কারাগার থেকে সাময়িক মুক্তি পেয়ে শেখ মুজিব ১৯৫৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকা পুলিশ সুপারকে জব্দকৃত জীপ ফেরতদানের, ১৯৫৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর লাইসেন্সকৃত বন্ধুক ও পিস্তল ফেরতদানের, ১৯৬০ সালে ১৮ মার্চ জেল থেকে মুক্তি পাবার পর সরকারকে নিজ গতিবিধি সম্পর্কে, ২২ জুলাই ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় রওয়ানা হওয়ার বিষয়ে প্রভৃতি দরখাস্তে বঙ্গবন্ধু তার ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করেছেন, '76, Segun Bagicha, Ramna, Dacca-2 (৭৬ সেগুনবাগিচা, রমনা, ঢাকা-২)'। আবার গ্রেপ্তার হয়ে জেলখানায় যাওয়ার পর ১৯৬২ সালের ৩ এপ্রিল থেকে নিরাপত্তা বন্দি হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আবেদনপত্রে তাদের ঠিকানা হিসেবে '677 Dhanmondi residencial Area, Road No. 32, Dacca (৬৭৭ ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, সড়ক নম্বর ৩২, ঢাকা।)' উল্লেখ করা শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর বাজেয়াপ্ত চিঠিপত্র সূত্রে জানা যায়, জেলখানায় বসেও তিনি অন্যায়-অবিচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কারাগারের বাইরে মুক্ত থাকা অবস্থায় রাজনৈতিক নেতা ও সহকর্মীদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। তাদের সঙ্গে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে মত বিনিময়ের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। ১৯৫২ সালের ২৩ আগস্ট ঢাকার নবাবপুরের আওয়ামী মুসলিম লীগের দফতর থেকে করাচির কূটচেরি রোডে সোহরাওয়ার্দীর ঠিকানায় বঙ্গবন্ধু ইংরেজিতে লেখা এক চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন, তার ও আতাউর রহমান খানের উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে সফর বিপুল সাড়া জাগালেও সংগঠনের জন্য অর্থের প্রয়োজন। পাটের মূল্য কম থাকায় সাধারণ মানুষ অভাব-অনটনে আছে। তাদের কাছে তহবিলের জন্য আবেদন করা যাবে না। একইভাবে ইত্তেফাক-এর প্রকাশনা অব্যাহত রাখার জন্য আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন বলে তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং অভিভাবকতুল্য সহকর্মী তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকেই নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক সহকর্মী- এমন কী মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরও চিঠি লিখে তাদের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন। কারাগারের ভেতর এবং বাইরে থেকে লেখা এ ধরনের চিঠিও তখনকার পাকিস্তান সরকারের গোয়েন্দারা জব্দ করতেও দ্বিধা করেনি। পাকিস্তান সরকারের বাজেয়াপ্ত করা চিঠিপত্র থেকে একটি জিনিস স্পষ্টই বোঝা যায় যে রাজনৈতিক সহকর্মী বা দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অপরিসীম দরদ। অনেক সময় তিনি তাদের পরিবার-পরিজনকে চিঠি লিখে সান্ত্বনা বা সহমর্মিতা জানিয়েছেন। ছাত্রনেতা খালেক নেওয়াজ গ্রেপ্তার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শেখ মুজিব ১৯৫২ সালের ৬ জুলাই নববাবপুর রোডের দলীয় কার্যালয় থেকে খালেক নেওয়াজের মায়ের উদ্দেশ্যে আচারগাঁও, পোস্ট নান্দাইল, ময়মনসিংহের ঠিকানায় একটি চিঠি লিখেছিলেন। তাতে তিনি বলেন, '... আপনার ছেলে খালেক নেওয়াজ আজ জেলখানায়। এতে দুঃখ না করে গৌরব করাই আপনার কর্তব্য। যদি কোন কিছুর দরকার হয়, তবে আমায় জানাতে ভুলবেন না। আমি আপনার ছেলের মত। খালেক নেওয়াজ ভাল আছে। জেলখানা থেকেই পরীক্ষা দিচ্ছে। সে মওলানা ভাসানী সাহেবের সাথে আছে।' তেমনি আবার ১৯৬৬ সালের ৪ আগস্টে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বগুড়া জেলা কারাগারে বন্দি নূরুল ইসলাম চৌধুরীকে লিখিত এক চিঠিতে শেখ মুজিব বলেন, 'বোধহয় আপনার খুব কষ্ট হচ্ছে। ভাবী বুড়া হয়েছেন, বার বার বগুড়া যেতে কষ্ট হয়। কেমন আছেন আমাকে জানালে বাধিত হব। আমি অনেক জেল খেটেছি আমার জন্য ভাববেন না।' বিভিন্ন জনকে লেখা বঙ্গবন্ধুর চিঠিই শুধু নয়, বঙ্গবন্ধুকে লেখা অনেকের চিঠিও পাকিস্তান সরকারের স্পেশাল ব্রাঞ্চ বাজেয়াপ্ত করেছিল। সে সকল চিঠি থেকে জাতির জনক সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বড় কথা হলো, এসব চিঠিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাদের আবেগ ও উদ্বেগসহ অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার টান পরিস্ফুট হয়েছে। ১৯৫১ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকার ১৮ নং কারকুন বাড়ি লেন থেকে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি মুজিবকে লেখা একটি চিঠিতে বলেন, '.... তোমার মুক্তির জন্য সরকারের দৃষ্টি বহুবার আকর্ষণ করিয়াছি, কিন্তু ছেলে অন্ধ হইলে নাম পদ্মলোচন রাখলে লাভ কি। ধৈর্য ধারণ কর।
আল্লাহ তোমার সঙ্গে আছেন। দেশের মুক্তির সঙ্গে তোমার মুক্তি।' ১৯৫২ সালের ২৯ মার্চ ঢাকা থেকে তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া টুঙ্গিপাড়ার ঠিকানায় বঙ্গবন্ধুকে লেখা এক চিঠিতে উল্লেখ করেন : 'The condition at Dacca is still uncertain. Arrests are continuing. Shamsul Haq has surrendered on 19th. Khaleque Newaz and Aziz Ahmed surrendered on 27th & 28th respectively. There is no information from Moulana Sahib. Long ago we recived communication from him that he was suffering from blood pressure. (ঢাকায় পরিস্থিতি এখনও অনিশ্চিত। ধরপাকড় চলছে। শামসুল হক আত্মসমর্পণ করেছেন ১৯ তারিখে। খালেক নওয়াজ এবং আজিজ আহমেদ যথাক্রমে ২৭ ও ২৮ তারিখে আত্মসমর্পণ করেছেন। মওলানা সাহেবের কাছ থেকে অনেক দিন কোন খবর নেই। শুনেছিলাম তিনি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন।)' বঙ্গবন্ধুকে লেখা নামজাদা ব্যক্তিবর্গের নয়, মাঠ পর্যায়ের রাজনৈতিক কর্মীর লেখা চিঠিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। শেখ মুজিব যখন আওয়ামী মুসলিম লীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তখন ঢাকার জিপিও থেকে আটক ও বাজেয়াপ্তকৃত ঢাকার পল্টন হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র আবদুল কাদের মিয়ার চিঠিতে বলা হয়, '... এখন হইতে পত্রিকা ও ২ খানা 'আওয়ামী লীগের' ম্যানিফেস্টো পাঠাইয়া দিলে 'আওয়ামী লীগ' আরেও জনপ্রিয় হইয়া উঠিবে। ইহাই আমার আকুল প্রার্থনা, আপনার নিকট, ভাই সাহেব আপনার সহকর্মীদের কাছে আমার সালাম বলিবেন।' ১৯৫৪ সালের ৮ অক্টোবর গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে নিরাপত্তা বন্দি শেখ মুজিবের ঠিকানায় চিঠি লেখেন জনৈক শহীদ। মুজিবকে 'ভাইজান' বলে সম্বোধন করে ওই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন,
'... অনেকে কাঁদে, অনেকে দুঃখ করে আর আমাদের অপবাদ দেয়। বলে তোমরা কেন 'তাকে' জেলে রেখে চুপ করে বাইরে আছ। গোপালগঞ্জের মানুষ প্রতিটি মুহুর্তে তারা ফরিয়াদ জানায় আল্লাহর কাছে তাদের প্রিয় নেতার জন্য। কত বৃদ্ধ-বৃদ্ধা আল্লাহর দরবারে ' রোজা নামাজ মানত' করে আপনার মামলার তারিখে।' ১৯৬৬ সালের ১৫ অক্টোবর কুমিল্লার উত্তর চর্থা থেকে মো. আছমত আলী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি মুজিবকে এক চিঠিতে বলেন, '... ক্ষুদ্র জীবনে দেশ ও সমাজের জন্য সত্যিকারভাবে 'সেবার' মনোভাব নিয়া যতটুকু কাজ করিতে পারিয়াছি তার জন্য মালিকের দরবারে অশেষ শুকরিয়া আদায় করিতেছি, সত্যিকারের কর্মীরা পদ মর্যাদা ও অর্থ লোভের জন্য রাজনীতি করে না। সেই জন্য তাদের স্ত্রী-পরিবার ঔষধের অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। জেলে গেলে এদের পরিবারের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করেন স্বযং খোদা। বিশেষ আর কি লিখিব। কায়মনবাক্যে সর্বশক্তিমানের দরবারে আপনার মঙ্গল কামনা করি,
দোয়া করিবেন।' মো. আছমত আলীর একই চিঠিতে পুনশ্চ হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর শেষ পত্রের দু'টি বাণীর উদ্ধৃতি দেওয়া আছে, (১) কেউ যদি কাজ না করে তবে কোন কিছুই করা সম্ভব নয়। কেবল জনসভা করাই যথেষ্ট নয়। মুসলিম লীগকে গড়তে কী পরিশ্রম না আমরা করেছি। আজও ঠিক সেইভাবে ব্যাপক খাঁটা-খাটুনির দরকার। (২) .. মনে হয় না, রাজনীতি করার মত মন আমার হবে। আয়কর আর দেনাদায়িক মিটানোর জন্য সব কিছু ছেড়ে আমাকে টাকা আয়ে মন দিতে হবে। দেখ আমরা যারা আগের জমানার নেতা তারা কেবল নিয়মতান্ত্রিক পথেই চলতে জানি কিন্তু তাতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। --------------------------------------------------------------------------------------- লিখেছেন : মোনায়েম সরকার , রাজনীতিক ও গবেষক  

Thursday 15 October 2015

একজন প্রতিমন্ত্রীর ফেসবুক প্রতিক্রিয়া ও প্রবাসী নাজমুলকে উদ্ধারের গল্প

SUPPORT AWAMI LEAGUE
নাসির ধ্রুবতারা
বুধবার ১৪ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে রাত ১০ টা ০৩ মিনিটে প্রকাশিত
একজন প্রতিমন্ত্রীর ফেসবুক প্রতিক্রিয়া ও প্রবাসী নাজমুলকে উদ্ধারের গল্প
একজন প্রতিমন্ত্রীর ফেসবুক প্রতিক্রিয়া ও প্রবাসী নাজমুলকে উদ্ধারের গল্প নাছির ধ্রুবতারা, বাংলাদেশ প্রেস || 'নেত্রকোণার নাজমুল দীর্ঘ আট বছর ধরে বৈধভাবে মালেশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাগানে কাজ করে আসছেন। একসময় ভালো বেতনও পেয়েছেন। সাড়ে তিন একর বাগান পরিচর্যা বাবদ ওভারটাইমসহ দিনপ্রতি ৭৫ রিংগিটও আয় করেছেন। সম্প্রতি মালিক বেতন কমাতে কমাতে দিনপ্রতি ১৫ রিংগিটে নামিয়ে এনেছেন, যা দিয়ে তার খাওয়ার খরচও হয়না। নাজমুল দেশে চলে আসতে চাইলে তার গত কয়েকমাসের বেতন ও পাসপোর্ট আটকিয়ে দেয় মালিক। থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ হাসে।
নাজমুল দূতাবাস চিনেন না, কারও নম্বরও জানেননা। কেউ একজন তাকে এই পেইজের নম্বর দিয়েছে। ফোনে অভুক্ত নাজমুল কান্নার শক্তিও পাচ্ছিলেননা। অশিক্ষিত নাজমুল এই শিক্ষিত দাসত্ব থেকে মুক্তি চান। পাসপোর্ট নিয়ে বৈধভাবে বাংলাদেশে ফেরত এসে মাথা উঁচু করে হালচাষ করে জীবন ধারণ করতে চান...
'কয় বেলা না খাইয়া আছি জানিনা স্যার, ক্ষুধায় ঘুম আসেনা স্যার... দেশে গিয়া হালচাষ করে খামু, আমারে নিয়া যান স্যার...' পোস্টটি ছিল ম্যাজিস্ট্রেট অল এয়ারপোর্টস বাংলাদেশ ফেসবুক ফ্যান পেইজের। পেইজটি পরিচালনা করেন এয়ারপোর্টের কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট। নাজমুলের বক্তব্য লিখে তাঁরা পোস্ট করে পেইজে। এসময় কেউ একজন ফেসবুকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে ট্যাগ দেন। এরপরেই প্রতিমন্ত্রী সেখানে 'অন ইট লিখে' বোঝান তিনি বিষয়টি আমলে নিয়েছেন। পেইজটির পক্ষ থেকে লেখা হয়,‘ধন্যবাদ স্যার। অধীর আগ্রহে বসেছিলাম কখন ধন্যবাদ দেব। জানতাম, অন্তত আপনি না এসে পারবেন না।’
ইশতিয়াক হিমন নামে একজন মন্তব্যে করেন, ‘একজন প্রতিমন্ত্রী জনগণের সাহায্যে ফেসবুকে সাড়া দিচ্ছেন এটা আমার দূরতম কল্পনাতেও ছিল না! সত্যিই আমরা বদলাচ্ছি, দেশটা বদলাতে কতক্ষণ!’
এরপরে কি হলো? কি হতে পারে? মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের ঘোষণা আস্থা রাখতে চান না তাই তো? কিন্তু প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সময় নেন নি, তারমধ্যেই আপডেট খবর এসে হাজির। মালয়েশিয়ার সেই বাড়ি থেকে নাজমুলকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মিনহাজ উদ্দিন নামে একজন নাজমুলের ছবি পোস্ট করে তাকে উদ্ধারের ঘটনা জানান। যেখানে নাজমুলকে হাস্যোজ্জ্বল মুখের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সাথে লেখা হয়েছে- 'মালয়েশিয়া অবস্থানরত শ্রমিক নাজমুল সাহেবের আকুতি শুনে মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ থেকে গতকাল রাতে যোগাযোগ করি। মালয়েশিয়ার পেরাকের সুদূর তেলুকিন্তান থেকে নাজমুল সাহেব এখন কুয়ালাম্পুরে আমার বাসায় আছে সুস্থ আছেন। আগামীকাল বাংলাদেশ হাই কমিশনে নিয়ে যাব। হাই কমিশন বলল ওনার জন্য যা যা করা দরকার সব করবে।যদি দেশে যেতে চাই তার ব্যাবস্থাও করা হবে অথবা এইখানে বেতন উদ্ধার করে নতুন ভাবে সেটেল করা হবে।


প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সারা দিন।

come to mukthi and learn the truth
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সারা দিন। 
উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে শেখ হাসিনার সতর্কবানী
জনগণের জন্য খুলে গেল রাজধানীতে নির্মিত এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় উড়াল সেতু ‘কুড়িল ফ্লাইওভার’। তিন কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ এই ফ্লাইওভারটি উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় বলেছিলেন, ‘আজ আমরা যে পরিকল্পনাগুলো হাতে নিয়েছি সেগুলোর বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন।’ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার কাজে আওয়ামী লীগ সরকারকে সহযোগিতা করুন।" তিনি যথার্থই বলেছিলেন ‘আমরা ক্ষমতায় থেকেও অনেকগুলো নির্বাচনে হেরে গেছি। জনগণ ভোটের মালিক, তারা ভোট দেবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। জনগণ যাকে ভোট দেবে, আমরা তাকেই মেনে নেব। তবে সৎ ব্যক্তিকে রেখে সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজদের বেছে নিলে আমাদের কিছুই বলার নেই। জনগণকে আমি সতর্ক করে বলতে চাই, তারা যেন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ও যারা দেশের উন্নয়ন করে- তাদেরকে যেন ভোট দেয়। ভোট তাদের আমানত, এটা যেন অপাঙ্ক্তেয়দের দান করে খিয়ানত না করেন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানি না বাংলাদেশের জনগণ আবার কি সেই অন্ধকারের যুগে ফিরে যেতে চায়। জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, কালো টাকা, দুর্নীতি- সেখানেই ফিরে যেতে চায়। সেই অন্ধকারের যুগেই আমরা কি ফিরে যাব? নাকি আলোকিত পথে আমরা এগিয়ে যাব? আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, যেন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারি।’ বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘বেগম সাহেবাকে জননেত্রী বলেছিলেন "তিনি নাকি নতুনভাবে দেশ পরিচালনা করবেন। অর্থাৎ নতুনভাবে দুর্নীতি করার নতুন কোন পদ্ধতি তিনি আবিষ্কার করেছেন।’ ৩ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি উদ্বোধনের মাধ্যমে রাজধানী এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করল।দেশের অগ্রগতি তাদের মূলকথা ছিল না। মূলকথা ছিল কী ভাবে টাকা বানানো যায়। কিভাবে আরো একটি হাওয়া ভবন তৈরী করে জনগণের অর্থ সম্পদ লুণ্ঠন করা যায়- সে প্রয়োজনেই খালেদা জিয়ার ক্ষমতায় আসার প্রয়োজন ছিল। শেখ হাসিনা আরো বলেছিলেন "একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে যদি তিনি কালো টাকা বানান, দুর্নীতি করেন আর জরিমানা দিয়ে তাঁকে শোধ করতে হয়, তাহলে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দুর্নীতি কোন পর্যায়ে ছিল তা জনগণকে বিবেচনা করার অনুরোধ করব। একইসঙ্গে বর্তমান সরকারের সঙ্গে বিগত জোট সরকারের শাসনামলকেও তুলনা করে দেখতে বলব। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে আগের সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেনি মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, "একটি সরকার দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হলে সামনে এগোতে পারে না।  
বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও মানুষের মাথাপিছু আয় ও রিজার্ভ বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকায় এখন বিদেশে গিয়ে মানুষ চাকরি করতে পারছে। আওয়ামী লীগ সরকার রাজধানীর উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে এবং কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনার (এসটিপি) আওতায় আধুনিক ঢাকা গড়তে বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে মিরপুর-বিমানবন্দর ফ্লাইওভার, বনানী রেললাইনে ওভারপাস এবং সংযোগ-সড়ক চালু এবং হাতিরঝিল প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি বলেন, কুড়িল ফ্লাইওভার ঢাকার গেটওয়ে এবং আধুনিক পূর্বাচল সিটির এন্ট্রি পয়েন্ট হবে। এতে পূর্বাচলের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়ে যানজট কমবে এবং অর্থনৈতিক খাতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।শেখ হাসিনা বলেন, যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ শেষের দিকে। এছাড়া ২৬ কিলোমিটার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের কাজও পূর্ণোদ্যমে চলছে। শান্তিনগর থেকে ঢাকা-মাওয়া সড়কে ঝিলমিল পর্যন্ত আর একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে।
কুড়ীল ফ্লাইওভার ব্যবহার করে উত্তরা ও বনানী থেকে সহজেই প্রগতি সরণি হয়ে রামপুরার দিকে যাওয়া যাবে। এর ফলে কুড়িল বিশ্বরোড ক্রসিং এলাকার যানজট অনেকটা দূর হবে বলে এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন শেষে সেখানে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার গঠনের পর এমন কোন খাত নেই- যেখানে উন্নয়ন হয়নি। এরই অংশ কুড়িল ফ্লাইওভার। দেশের প্রতি কর্তব্যবোধ ছিল বলেই এই সেতুর কাজ দ্রুত শেষ হয়েছে। জোট সরকারের আমলে দুর্নীতিকে তারা ‘নীতি হিসেবে’ গ্রহণ করেছিল বলেই উন্নয়নমূলক কোন কাজ সামনে এগোয়নি। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশ হয়ে গিয়েছিল জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির দেশ। পাঁচবার দুর্নীতিতে দেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে। বিগত জোট সরকারের দুর্নীতি-দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরতে গেলেই "খাম্বা লিমিটেড ও ড্যান্ডি ডায়িংয়ের" নামে সোনালী, জনতা এবং বিভিন্ন বেসরকারী ব্যাংক থেকে বি এন পি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দুই পুত্র, ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা ৯৮০ কোটি টাকার মতো লুটপাট করে নিয়েছিল। অনেক ক্ষেত্রে সুদসহ মওকুফ করিয়েছে।
অপর দিকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই মেট্রোরেল প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে এবং এর কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। বর্তমান সরকারের মেয়াদেই পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে এবং ইনশাহ আল্লাহ্‌ শেষও হবে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত হয়েছে। যার সব টুকুন প্রশংসার দাবীদার আওয়ামী লীগ সরকার তথা জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। দারিদ্র্যতার "অভিশাপ" থেকে বাঙ্গালী জাতিকে মুক্তি দিয়ে একটি সুখি সম্রিদ্ধাশালী দেশ হিসেবে অনতিবিলম্ভেই বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সারিতে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে জনগণের ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে ধর্ম প্রতিষ্ঠার অযৌক্তিক সাম্প্রদায়িক বিশ বপনে বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজত যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, দেশের মানুষ উন্নয়ন চায়। আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের সংগঠন। কেবল এই দল ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হয়। জনগণ দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কখনও কোন নীলনকশা মেনে নেয়নি। তারা ধ্বংসাত্মক কর্মকানড, পবিত্র কোরান শরীফ ও জায়নামাজে অগ্নিসংযোগ, মসজিদ জ্বালিয়ে দেয়া বা নারীদের সম্পর্কে কোন ভুল ব্যাখ্যা বা আপত্তিকর মন্তব্য মেনে নেয়নি। বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজতের অপপ্রচার এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের হাত থেকে দেশ রক্ষা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে । ঢাকা মহানগরীর প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সৌন্দর্য রক্ষা এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি আধুনিক শহর গড়তে সরকারের প্রচেষ্টায় সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

Saturday 10 October 2015

ধিক! মূর্খ অর্বাচীন অদূরদর্শিনী বেগম খালেদা জিয়া!

come to mukthi and learn the truth
ধিক! মূর্খ অর্বাচীন অদূরদর্শিনী বেগম খালেদা জিয়া! 
১/১১ খ্যাত ২০০৬-২০০৭ সালের মহা চক্রান্তকারী ডঃ ফখরুদ্দিন আহমেদ, জেনারেল মঈন, আহমেদ কোরেশী, ভোরের আলু মতিউর রহমান, ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন ও ডঃ কামাল বা ডঃ ইউনুসগংদের সকল চক্রান্তই বিফলে গিয়েছিল। শত চেষ্টায়ও জাতিকে বিভক্ত করতে পারেনি। পারেনি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে খাদ্যের সাথে বিষক্রিয়ার সংমিশ্রণে মেরে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্রের নীল নকসা বাস্তবায়ন করতে। কোন ডঃ কামাল-ইউনুসের হীন কূটকৌশলই বাংলার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করতে পারেনি। তা'সে যতো বড় কালো হাতই হোক। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে হেয়প্রতিপন্ন করার, ক্ষমতাচ্যুত করার মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আল আমিন। এ ক্ষমতা কোন ডঃ, জেনারেল বা সুদখোড় ঘুষখোর দইওয়ালার কৃপায় প্রাপ্ত হয় না । যতোদিন বাংলার মাটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সর্বশেষ একজন আদর্শ সৈনিকও বেঁচে থাকবে, যতোদিন নৌকার একটি ভোটারো বাংলার কোন একটি নিভৃত পল্লীতে জয় বাংলার প্রতি বিশ্বাস অক্ষুণ্ণ ও দেশপ্রেমের আদর্শিক চেতনা ও প্রত্যয় নিয়ে জীবিত থাকবে, ততোদিন বাংলাদেশ টিকে থাকবে। টিকে থাকবে স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ত্ব; টিকে থাকবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা, ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ ৪০ হাজার সম্ভ্রম হারানো মা বোনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ, ভালোবাসা ও সন্মান । দুনিয়ার কোন হায়েনা পেশীশক্তিবলে এ পবিত্র মাটির একটি ক'নাও ছুঁতে পারবে না। যেমন পারেনি ৭১এর ঘনকাল মূমূরষ দিনগুলিতেও। আজ যারা ভারতের দালাল বলে আওয়ামী লীগকে ধিক্কার দেয়, ধর্মের নামে জাতিতে জাতিতে ভেদাভেদ, মানুষে মানুষে হিংসা বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামার দিকে দেশকে ঢেলে দিতে চাইছে, ভাইয়ে ভাইয়ে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্টানের লেবাস পড়িয়ে বাঙ্গালী জাতির আজীবনের ঐক্যবন্ধনে বিভাজনের বিষ বৃক্ষ রোপণের পায়তারা করছে। ওরা দেশদ্রোহী পশ্চিমা পাকি প্রভূদের পা’চাটা লোভী কুকুর। ৭১ এ বাঙ্গালি জাতিকে কামড় দেয়া শুয়োরের বাচ্চা এখন বড় হয়ে কামড় দিতে শিখেছে। ওদের কোন ধর্ম নেই, জাত নেই, বংশ নেই। ওরা মানুষরূপী অমানুষ; ধর্ম ব্যবসায়ী জানোয়ার-নরপশু । 

ওদের মূখে সারাক্ষণ ভারত বিদ্বেষী কথার ফুলঝুরিঃ 


“ভারত এটা করেছে, ভারত দেশটাকে লুটে নীল, ভারত বাংলাদেশের ইসলামকে হিন্দু তত্ত্ব দিয়ে হিন্দুস্থান বানাতে চাইছে শেখ হাসিনা ভারতের নিকট দেশ বিক্রয় করে ফেলেছে ইত্যাদি ইত্যাদি অথচ যেয়ে দেখুন,ওদের ঘরে ২৪ ঘন্টা হিন্দি সিরিয়াল চলে, হিন্দি সিনেমা না দেখলে ওদের ঘুম হয়না। ওদের বউ ঝি'রাই ভারতের থ্রি পীচ আর শাড়ী না পড়লে কোন অনুষ্ঠানে যেতে পারে না। দিনে ভারত বিদ্বেষী বয়ানে মূখে থুবড়ি বেড়িয়ে আসে, আর রাতে হিন্দি ছবি না দেখলে ঘুম আসে না। একদিকে ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার অন্যদিকে গোপনে ভারতের কাছে বিশেষ চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব দিয়ে গত নির্বাচনে সমর্থন আদায়ের জন্য তেল মালিশ করা” ।
বুঝে দেখুন, বুকে হাত দিয়ে বলুন, পাকিস্তানের হায়েনা পশুর দল ৭১ এ ৩০ লক্ষ বাঙ্গালিকে হত্যা এবং ২ লক্ষ ৪০ হাজার মা বোনের ইজ্জত লুন্ঠনকারী কিভাবে আমাদের বন্ধু হয়? যে পাকিস্তান বাংলার মাটির লোভে বাঙ্গালি নিধন করেছিল, তারা কিভাবে বন্ধু হয়? ভারতের সাথে আমাদের পারস্পরিক শিল্প বানিজ্য সাংস্কৃতিক ও ভোউগলিক সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ হিসেবেই দেনা পাওনা/হিসেব নিকেশের বহুবিধ সমস্যা- দ্বন্দ- বিভেদ মতভেদ থাকতেই পারে। ভাইয়ে ভাইয়ে যদি সম্পদ বন্টন সংক্রান্ত বিভেদ থাকতে পারে, তাহলে ভারতের সাথেও থাকাটা অতি সাভাবিক। উভয় দেশের সার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে ইতোমধ্যেই শেখ হাসিনার সরকার একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে যার আশু বাস্তবায়ন কিয়দাংশ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং অন্যান্য বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা চলছে, যার সমূহ সম্ভাব্য সমাধানের জন্য দ্বিপাক্ষিক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলছে। 
শেখ হাসিনা বরাবরই বলে থাকেন যে আমাদের কোন প্রভূ নেই, রয়েছে বন্ধু এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। যার প্রমান তিস্তা নদীর পানির হিস্যার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা ঠিক জাতির জনকের মতোই কঠোর ভাষায় ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মূখারজীকে ষ্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছিলেন” নো তিস্তা, নো ট্রানজিট”। সর্বোপরি, কোন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই জননেত্রী শেখ হাসিনা তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি সম্পাদন করেছেন। কই? বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা বিবিও তো দুই দুই বার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন? তিনি কেনো তিস্তার পানি বন্টনের বিষয়টির সমাধান করলেন না? মাঝে মাঝে খালেদা জিয়ার বক্তব্য শুনলে হাসি পায় আবার দুঃখও লাগে। তিনি কখনোই বাংলাদেশের সমূদ্র সীমানা নিয়ে মাথা ঘামাননি এবং মায়ানমারের কাছে বাংলাদেশের ন্যায্য হিসসার দাবী তোলেন নি। তিনি মূখ খুললেন যখন জননেত্রী শেখ হাসিনা মায়ানমারের নিকট থেকে বাংলাদেশের ন্যায্য হিসসা বুঝে নিলেন। বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া সমুদ্র ভুখন্ড যেদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনা উদ্ধার করে বিশ্বের কাছে, জাতি সংঘের কাছে এক আপোষহীন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে সন্মানিত হলেন। খালেদা জিয়া বললেন “শেখ হাসিনা সরকার মায়ানমারের কাছ থেকে বাংলাদেশের আসল পাওনা বুঝে আনতে পারেনি, আমরা আরো পাবো।বি এন পি সরকার হলে পুরো পুরি বুঝে নিতো। আজ দেশবাসীর কাছে আমার একটি প্রশ্নঃ তিনি কোথায় ছিলেন ১৯৯১-১৯৯৫ এবং ২০২০১-২০০৬ সালে? কি সারাদিন ফালু আর রাজাকারদের সাথে চক্রান্তের জাল বুনোনের কাজে ব্যস্ত ছিলেন? নাকি শেখ হাসিনাকে হত্যার গভীর ষড়যন্ত্র আর পাকিস্তানের দেয়া অর্থের হিসাব করতে করতে ভুলেই গিয়েছিলেন যে আমাদের সমুদ্রের অনেক খানি ভুখন্ড মায়ানমার সরকার দখল করে রেখেছে? 
ধিক! খালেদা জিয়া ধিক! আপনার মূর্খ অর্বাচীন রাজনৈতিক অদূরদর্শিতাকে। আপনি বাংলার নিরীহ সহজ সরল দুখি মানুষকে আর কতো বোকা বানাবার চেষ্টা করবেন? জননেত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যে আপনার এতো জ্বলন কেন? 
মুক্তিযোদ্ধা কণ্ঠশিল্পী 
মোকতেল হোসেন মুক্তি 
সহ সভাপতি কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী তরুণ লীগ
সভাপতি সময়’৭১
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি 
মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ। 
সংগীত শিক্ষক